মোঃ রেজওয়ানুর রহমান শুভ
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী ও উপজেলা পরিষদর চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান ত্রাণ বিতরণ করেছেন। দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন দিনাজপুর ৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শিবলী সাদিক। নিজে প্রত্যেকটি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার পরিদর্শন করে শান্তনা দেন এবং গৃহ নির্মানের জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা বিতরণ করেছেন। এদিকে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এবং তার উপস্থিতিতে ১০ মোট্রিক টন চাল ও নগদ অর্থ গত বুধবার সন্ধায় বিতরণ করেছেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুজ্জামান, বিরামপুর সার্কেল এএসপি এ কে এম ওহিদুন্নবী, নবাবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ, ৯নং কুশদহ ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল আজিম আনু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সায়েম সবুজ। এদিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ক্ষতিগ্রহস্থ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ, শাড়ী, লুঙ্গি, পাঞ্জাবী বিতরণ করেছেন। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) নবাবগঞ্জে মধ্যরাতে কালবৈশাখী ঝড়ে পাঁচটি গ্রামের প্রায় ৩০০ বাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। ক্ষতি হয়েছে দেড় শতাধিক বিঘা ফসলের।নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর স্থানীয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের নগদ সহায়তা দেন। কুশদহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম সবুজ বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এতে ইউনিয়নের গিলা ঝুঁকি, ছাবেদগঞ্জ, মাহাতাবপাড়া, শাল্টিপাড়া, ঘোনাপাড়া গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে যায়। প্রায় দুই সহস্রাধিক কাঁচা ও আধা পাকা বাড়ি ভেঙে পড়ে। এতে আহত হন প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক রাতেই ঝড়ে আক্রান্ত গ্রামগুলোতে ছুটে যান। সারারাত জেগে নিজ গাড়িতে করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করে দেন।
বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো মেরামতের চেষ্টা করেছেন অনেকে। আবার অনেকে আহাজারি করছেন। কিছু কিছু জায়গায় টিনের চালা বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ঝুলে আছে। কুষ্টিয়াপাড়া এলাকার ষাটোর্ধ্ব আজগর আলী বলেন, আমার জীবনে এমন ঝড় দেখিনি। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ঝড় এলাকা তছনছ করে দিয়েছে। আমার এক নাতির হাত ভেঙে গেছে। আমাদের থাকার জায়গা নেই। স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এসে ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোতে যাই। আহতদের উদ্ধার করে নিজের গাড়িতে করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। নিজ অর্থায়নে গ্রামে থাকার বিকল্প ব্যবস্থা ও খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি বাড়িতে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন