নবাবগঞ্জ নিউজ স্টাফ রিপোটার, এম রুহুল আমিন প্রধান >
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার ৪ নং দিওড় ইউনিয়নের হতদরিদ্রের মাঝে ৫০ বস্তা চাল বিতরণ নিয়ে শুরু হয়েছে গোলক ধাঁ ধা কেউ বলছে চেযারম্যান চাল চুরি করেছে!! কেউ বলেছে চাল গোডাউন ঘরে রক্ষিত রয়েছে!! কিভাবে চেযারম্যান চাল চুরি করল এর রহস্যর জট যেন খুলছে না। আসন্ন ঈদুল আযহার পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের চাল হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণের লক্ষ্যে চেযারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডলের নেতৃত্বে ত্রাণ বিতরণ কমিটি তিন দিন ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দ ৪২০৫ টি কার্ডের এর মধ্যে ৪১০০ কার্ড (কার্ড প্রতি) ১০ কেজি চাল হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করেন। সময় মত ১০৫ টি পরিবার তাদের জন্য বরাদ্দের কার্ডের চাল না নেওয়ায় পরের দিন না পাওয়া পরিবারগুলোকে চাল দেওয়া হবে বলে ৫০ বস্তা চাল ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কাছে হেফাজতে রাখেন চেয়ারম্যান। গত ৮-৭-২২ ই: তারিখ রাত ৭,৩০মি: সময় হঠাৎ করে প্রচার করা হয় চেয়ারম্যান ৫০ বস্তা চাল চুরি করে ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউনে রেখেছে এই ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর ঘটে তুলকালাম কান্ড। জড়ো হতে থাকে তার প্রতিপক্ষ প্রার্থীর লোকজন। ঘেরাও করে ইউনিয়ন পরিষদ। বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গোডাউনে সিলগালা করে লোকজনকে শান্ত করেন। এখন পর্যন্ত চাল গোডাউন ঘরেই রক্ষিত রয়েছে। এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মাসুদুর রহমান জানান, বরাদ্দের চাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দেওয়ায় ১০৫ জন কার্ডধারী সময মতো না আসায় তাদের বরাদ্দের ৫০ বস্তা চাল ও তাদের মাস্টার রোল কাগজপত্র তার কাছে রেখে চাল পরের দিন চাল প্রদান করা হবে বলে চেযারম্যান সহ ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরা নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায়। চেয়ারম্যান জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে সাতটার সময় তিনি জানতে পারেন, চেযারম্যান চাল চুরি করেছে হুজুক তুলে পরাজিত প্রার্থির লোকজন এই অভিযোগ এনে ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করে । ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউন ৫০ বস্তা বরাদ্দের চাল রয়েছে, চেযারম্যান সেই চাল চুরি করেছে, প্রতিপক্ষ পরাজিত প্রার্থী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে গোডাউন ঘরে রাখা ৫০ বস্তা চাল দেখতে পায । গোডাউনটি সিলগালা করে দেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের চাল ১০৫টি হতদরিদ্রে পরিবার ঈদের আগে চাল পেল না। দায়ভার কেউ নিচ্ছে না!! প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দোষী যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন অভিজ্ঞ মহল ।এদিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মাননীয প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বরাদ্দের চাল ঈদের ৪ দিন পূর্বে থেকে ৫-৭ -২০২২ ইং – ৭, ৮, ৯ নম্বর ওযার্ড, ৭-৭-২২ ইং তারিখ ৪,৫,৬,নম্বর ওযার্ড,৮-৭- ২০২২ ইং তারিখে ১,২,৩, দুই তিন নম্বর ওযার্ডে মোট ৯টি ওযার্ডে ৪১০০কার্ড বিতরণ হয়। বাকি ১০৫ জন কার্ডধারী হতদরিদ্র মানুষ সময়মতো না আসায় পরের দিন দেওয়া হবে মর্মে জানানো হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ৮-৭-২২ তারিখে রাত ৭ঃ০০ ঘটিকার সময় ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউন ঘরে রক্ষিত ৫০ বস্তা চাল চেযারম্যান চুরি হয়েছে মর্মে একটি কুচক্রী মহল আমার মান-সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য প্রচার চালিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউন ঘরে রাখা ৫০ বস্তা চাল প্রশাসনকে দিয়ে সিলগালা করে। চেযারম্যান আরো বলেন, আমি চাল চুরি করে বাড়িতেও নিয়ে যাইনি নিজের জিম্মাও রাখিনি। ইউনিয়ন সচিবের জিম্মায় বিশেষ বরাদ্দের ৫০ বস্তা চাল ও ১০৫ জন কার্ডধারীর তালিকা ও তার কাছে রেখে দিয়ে আমি বাড়িতে চলে আসি । তিন দিন চাল বিতরণের সময উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে দায়িত্বরত কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের ইউনিয়ন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সীমা আক্তার, শুকতারা পারভিন ও অডিট অফিসার দীনেশচন্দ্র রায ও কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থেকে চাল বিতরণ করেন। ইপি চেযারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল আরো জানান, তাকে ষডযন্ত্রমূলক ভাবে ফাঁসানোর জন্য তার প্রতিপক্ষ পরাজিত প্রার্থী নাটকের অবতরণ করে মানুষকে উত্তেজিত করেছে। তিনি উক্ত ঘটনার সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি জানান, আসল রহস্য উদঘাটন এবং ষডযন্ত্রকারীদের মুখোশ জনগণের কাছে উন্মোচন হবে বলে তিনি দাবি করেন । বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ত্রাণ কমিটির সভাপতি পরিমল কুমার সরকার জানান, ঈদের একদিন পূর্বে ১০৫ জন কার্ডধারী চাল না নীতে আশায় চাল উক্ত পরিষদের গোডাউন ঘরে সিলগালা করে রাখা হয়েছে।পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হবে জানান। এলাকাবাসী জানায় সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হলে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচিত হবে।
মন্তব্য করুন