জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ ওমর আলী বাবু >
জয়পুরহাটে শীতের প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে।শীতে কাতর হয়ে ছিন্নমূল অসহায় হতদরিদ্র মানুষ গুলো জয়পুরহাট রেলস্টেশনসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে রাত কাটায়।তাদের কথা ভেবে গভীর রাতে হেটে হেটে জয়পুরহাট রেলস্টেশনে ঘুমিয়ে থাকা ছিন্নমূল অসহায় হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষদের মাঝেনিজ হাতে কম্বল জরিয়ে দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম ।
শনিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে শহরের রেলষ্টেশন, বারঘাটি পুকুর সংলগ্ন বস্তি,শহরের জিরো পয়েন্ট কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরে এসব কম্বল বিতরন করেন।
কম্বল পেয়ে খুশি হয়েছেন শীতার্তরা মন্টু নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমি একজন ভিক্ষুক মানুষ। এই শীতের রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না। খুব ঠান্ডা লাগে। চাদর জড়িয়ে শুয়ে পড়ি। এখন এই কম্বল গায়ে জড়িয়ে ঘুমাবো।
মোজাফ্ফর নামের আরেকজন বলেন, শীতের রাতে গামছা উড়িয়ে ঘুমায় তাতে কি আর শীত যাবে! এই কম্বলটি পাওয়াতে ভালো হলো।
জয়পুরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ইন্সপেক্টর শাহেদ আল মামুন বলেন, হঠাৎ রাত ১২ দিকে এস পি মোহাম্মদ নুরে আলম স্যার আমাকে ফোন দিয়ে বলেন রাস্তারফুটপাতে, রেলস্টেশনে, বিভিন্ন বস্তিতে, হোটেল শ্রমিক,নাইটগার্ড রিক্সা ভ্যান চালক, ছিন্নমূল,দরিদ্র অসহায় খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য ৫ হাজার কম্বল নিয়ে এসেছি সেগুলো দিতে হবে এখনি আসেন। স্যারের কথা মত গাড়িতে করে কম্বল নিয়ে রেলস্টেশনের ঘুমিয়ে থাকা ছিন্নমূল অসহায় শীতার্ত মানুষদের এস পি স্যার হেটে হেটে নিজ হাতে তাদের শরীরে কম্বল জরিয়ে দেন।
এছাড়াও বারঘাটি পুকুরের রেলবস্তিতে শহরের বিভিন্ন স্থানে ডিউটিরত নাইটগার্ড,হোটেল শ্রমিক, কুলি শ্রমিক, ভ্যান রিক্সা চালকদের কম্বল দেন।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম স্যার এই শীতে চলমান ভাবে প্রতিদিন রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরন করবেন।
এ ব্যাপারে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোহামদ নুরে আলম বলেন, ছিন্নমূল অসহায় হতদরিদ্র মানুষেরা রেলস্টেশন, ফুটপাত,বস্তিতে শীতে কষ্ট করে। জয়পুরহাটে যোগদানের পরই শীত নেমেছে আমি তাদের বিষয়টি উপলব্ধি করেছি। এই শীতে এসব অসহায় মানুষকে যেন কষ্ট না করতে হয় সেজন্য আমি চেষ্টা করছি। তারা যেন ভাল থাকে। আমি চেষ্টা করবো আরো ২০ হাজার কম্বল তাদের মাঝে বিতরন করার।
মন্তব্য করুন