পলিমালচিং পদ্ধতির ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছে কৃষকI

Spread the love

ওমর আলী বাবু,জয়পুরহাট প্রতিনিধি ঃ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ফসল উৎপাদনে আগাছার হাত থেকে রক্ষা পেতে পলিমালচিং পদ্ধতির ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছে কৃষকরা। এ পদ্ধতি কৃষকের নিকট জনপ্রিয় হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে কৃষক সবজি চাষে এর ব্যবহার দিন দিন বিভিন্ন এলাকায় প্রসার ঘটাচ্ছে। পলি ব্যবহারে জমিতে কোন প্রকার আগাছা জন্মাতে পারে না এবং মাটিতে যথেষ্ট পরিমানে রস ধরে থাকে এ কারনে ফসল ভাল হয়। কৃষি অফিস ও প্রান্তিক কৃষকরা বলেন, বর্তমান লেবার খরচ বেশি কিন্তু সে তুলনায় পলিমালচিং পদ্ধতিতে খরচ কম হয় এবং উপকারও বেশ ভাল হয়।
পাঁচবিবি উপজেলার আটাপাড়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আবু ইয়াহিয়া মন্ডল অন্যের দেখে এ বছর প্রায় ৫ বিঘা জমিতে পলিমালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। তিনি জমিতে তরমুজ, বেগুন, ক্যাপসিকাম, টমেটো, পেঁপে, সিম, মরিচ, করলা, শসা ও লাউসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করে ফলনও ভাল পেয়েছে। ১ বিঘা জমিতে ১ হাজার মিটার পলি বিছাতে হয়। যা বাজারে এর দাম ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। একবার পলি বিছিয়ে জমি চাষ ছাড়াই শুধুমাত্র সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করে পর পর ৩ বার ফসল উৎপাদন করা যায়।
বালিঘাটা ইউপির কোকতারা গ্রামের কৃষক মনির হোসেন বলেন, জমিতে ভাল ফলনের আশায় আমরা যে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে থাকি তার অধিকাংশই খেয়ে ফেলে আগাছা। জমির এসব আগাছা পরিস্কারে শ্রমিককে যত টাকা দিতে হয় সে তুলনায় পলির দাম অনেক কম। একই পলি জমিতে তিন বছর ব্যবহার যায়। আমি তিন বছর ধরে জমিতে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছি।
আওলাই ইউপির ভাড়াহুত গ্রামের তরমুজ চাষী আজমল হোসেন বলেন, আগাছার অত্যাচার এবং আগাছা পরিস্কারে করতে শ্রকিমকে যে পরিমান টাকা দিতে হয় তার চেয়ে পলিমালচিংই ভাল। তাই বেশী দামের পলির ব্যবহার করছি।
পাাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, এ উপজেলার প্রায় ৭শ’ বিঘা জমিতে পলিমালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে কৃষক। এ পদ্ধতিতে মাটির আদ্রতা ভাল থাকে। আগাছা জন্মাতে পারে না। পোকা-মাকর ধরে না। জমিতে পুষ্টির যে সার প্রয়োগ করা হয় তা শতভাগ কাজে লাগে এবং ফলনও ভাল উৎপাদন হয়। পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের শিরট্টি এলাকায় ব্যাপক ব্যবহার হয় এছাড়াও বাগজানা ইউনিয়ন, আয়মারসুল ইউনিয়ন ও কুসুম্বা ইউনিয়নেও এ পদ্ধতি ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়াও জয়পুরহাট সদর উপজলোর দুর্গাদহ, গোপালপুর, পাথুরিয়া, বিলাসবাড়ী, পাবর্তীপুর, আটঠোকা, দড়িপাড়া, পশ্চিম রামকৃষ্ণপুর এলাকায় এ পদ্ধতি ব্যবহার করে সফল হচ্ছে।

 


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।