জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃওমর আলী বাবু >
জয়পুরহাটে ৬টি চোরাই মোটর সাইকেলসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ। সোমবার দিন ও রাতে বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মালঞ্চা ফকিরপাড়া গ্রামের আতোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ তাওসিব হাসান ওরফে নাদিম (২৪), একই উপজেলার সিতা মাতখুর গ্রামের সুলতান হোসেনের ছেলে মিম হোসেন (২৫), বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার উৎরাইল গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৪), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বিন্নাগাড়ী গ্রামের খাইরুল ইসলামের ছেলে সোহানুর রহমান ওরফে সোহান (২২), একই উপজেলার বাগদাপাড়া গ্রামের আলফার হোসেনের ছেলে শামিম হোসেন (২৪) ও তাঁর বাবা আলফার হোসেন (৪৮)। এদের মধ্যে রবিউল ইসলাম মোটরসাইকেল চোরচক্রের মূলহেতা বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মালঞ্চা ফকিরপাড়া গ্রামের আতোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ তাওসিব হাসান ওরফে নাদিম (২৪), একই উপজেলার সিতা মাতখুর গ্রামের সুলতান হোসেনের ছেলে মিম হোসেন (২৫), বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার উৎরাইল গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৪), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বিন্নাগাড়ী গ্রামের খাইরুল ইসলামের ছেলে সোহানুর রহমান ওরফে সোহান (২২), একই উপজেলার বাগদাপাড়া গ্রামের আলফার হোসেনের ছেলে শামিম হোসেন (২৪) ও তাঁর বাবা আলফার হোসেন (৪৮)। এদের মধ্যে রবিউল ইসলাম মোটরসাইকেল চোরচক্রের মূলহেতা বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
জেলা পুলিশের গোয়ন্দা শাখা সূত্রে জানা যায়, গত ২/৩ মাস ধরে জয়পুরহাট জেলায় মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা বেড়ে যায়। গত ২৮ ফেরুয়ারি নর্থ বেঙ্গল স্কুল কর্তৃক জয়পুরহাট সার্কিট হাউজ মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠান থেকে সাদেকুল ইসলামের একটি টিভিএস আরটিআর ১৫০ সিসির মোটরসাইকেল চুরি হয়। এঘটনায় সাদেকুল ইসলামের ভাই আসাদুজ্জামান বাদি হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এরপর পুলিশ সুপারের মোহাম্মদ নুরে আলমের নির্দেশে ডিবি পুলিশ মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য ধরতে অভিযান পরিচালনা করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চোর চক্রের শনাক্ত করা হয়। তাঁদের বিভিন্ন জেলা থেকে চোরাই ছয়টি মোটরসাইকেলসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর পুলিশ সুপারের মোহাম্মদ নুরে আলমের নির্দেশে ডিবি পুলিশ মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য ধরতে অভিযান পরিচালনা করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চোর চক্রের শনাক্ত করা হয়। তাঁদের বিভিন্ন জেলা থেকে চোরাই ছয়টি মোটরসাইকেলসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম বলেন, মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূল হোতা রবিউল ইসলাম। তাঁদের কাছে একাধিক মাস্টার চাবি রয়েছে। ওই মাস্টার চাবি দিয়ে যে কোন মোটরসাইকেলের তালা মাত্র তিন সেকেন্ডে খুলে ফেলতে পারেন তাঁরা। চোরাই মোটরসাইকেলগুলো তাঁরা টাঙ্গাইল, জামালপুরসহ বিভিন্ন জেলায় নিয়ে গিয়ে ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন। তাঁদের টাঙ্গাইল ও জামালপুর জেলা থেকে চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোটরসাইকেল চোরচক্রের আরও সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে তিন জন আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন