পাঁচবিবিতে বাঁশখুর ফাযিল মাদ্রাসার প্লাটিনাম জয়ন্তি উদযাপন ।

Spread the love

 

 

জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ ওমর আলী বাবু।

উত্তরাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বাঁশখুর ফাযিল মাদ্রাসা। সাতচল্লিশের দেশভাগ, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলনসহ দেশ মাতৃকার উল্লেখযোগ্য সময়ের রাজ সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে এই প্রতিষ্ঠান। দেশের শিক্ষা, রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রশাসন, চিকিতসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের বাঁশখুর গ্রামের এই প্রতিষ্ঠান ব্যাচ ১৯৭৫-২০২৩ পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে পালন করেছে”প্লাটিনাম জয়ন্তি উৎসব।”

রবিবার (২৩ এপ্রিল) বাঁশখুর ফাযিল ডিগ্রী মাদ্রাসার মাঠে এই প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। একদিনের এই প্রোগ্রামে নবীণ-প্রবীণদের অংশগ্রহণ আনন্দঘন মহুর্তের সৃষ্টি করে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, মাদ্রাসা নিয়ে স্মৃতিচারণ, র্যালী, ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আপ্যায়নসহ নানা আয়োজন ছিলো এই প্রোগ্রামে। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উদ্বোধন ঘোষনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। অনুষ্ঠানে মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রীত ছিলেন জয়পুরহাট ১ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু। বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রীত ছিলেন জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী, পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ নূরে আলম, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আরিফুর রহমান রকেট, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান।পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল শহীদ মন্ডল মুন্না, পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরমান হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক, পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট সোলায়মান আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম।

প্রধান আলোচক হিসেবে আমন্ত্রীত ছিলেন ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। প্রোগ্রাম সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী অধ্যাপক মনসুর রহমান।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও বাঁশখুর ফাযিল মাদ্রাসার সভাপতি বলেন মো. মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেন, কোরআন আমাদের বুঝে পড়তে হবে। আমাদের মাদ্রাসায় কোরআন বুঝে পড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। মাদ্রাসা শিক্ষকদের এ দায়িত্ব নিতে হবে। কোরআনের দীক্ষা আমাদের মনে স্হান দিতে হবে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরমান হোসেন বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষা অনেক হালনাগাদ হয়েছে। আগামীতে আরও হবে। এই প্রতিষ্ঠানের জন্য সাবেক শিক্ষার্থীদের কাজ করতে হবে। বর্তমানদের এমনভাবে তৈরি হতে হবে যেনো বিশ্ব আমাদের স্মরণে রাখে।প্রোগ্রামে প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্য থেকে অনূভূতি ব্যক্ত করেন আমান গ্রুপের এজিএম জাহাঙ্গীর আলম, বিশিষ্ট ব্যাংকার আব্দুল ওয়াহেদ, ব্যাংকার সিরাজুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আবু ইউসুফ মোহাম্মাদ খলিলুর রহমান, প্রভাষক মোকাম্মেল হোসেন। তারা শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি মানুষ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।অনুষ্ঠানে এটিও মো. রুহুল আমিন, ভারচেটাইল টেক্সটাইল এর ডিরেক্টর সামসুল আলম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অান্ড কলেজের অধ্যাপক আশরাফ আলী, ডা. এম এ আর পারভেজকে কৃতি ছাত্র সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।উৎসব উপলক্ষে “ঐকতান” স্মারক গ্রন্হ উদ্বোধন করেন মাদ্রাসার সভাপতি মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর। প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আজাহারুল ইসলাম।

 

 


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।