মিজানুর রহমান, নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত সাংবাদিকদের নিকট পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, গত ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে অভিযুক্ত আসামী মোঃ ইউসুফ আলী (৩৮) তার নিজ কন্যা ভিকটিমকে রাত্রী অনুমান ০০.২০ ঘটিকার সময় ইচ্ছার বিরুদ্ধেজোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
এলাকাবাসীর নিকট আরও জানা যায় যে, ভিকটিমের মা সাংসারিক কাজ করতে গিয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে আগুনে পা পুড়ে যায় এবং দীর্ঘ ৩ মাস মেডিকেলে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। সে সুযোগে ঘাতক বাবা ভিকটিমকে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা দীর্ঘ ০৩ মাস চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন ভিকটিম কোন খাবার গ্রহণ করলে বমি করছে। বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় ভিকটিমের মা ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে চাইলে আসামী (ভিকটিমের বাবা) বাঁধা সৃষ্টি করে।
একপর্যায়ে ভিকটিম তার মায়ের কাছে বিষয়টি খুলে বলে। ধৃত আসামী (ভিকটিমের বাবা) ও তার সহযোগীরা উক্ত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভিকটিমের গর্ভপাত ঘটায়।
পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ০১/০৭/২০২৩ ইং তারিখে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর থানায় এজাহার দায়ের করে, যার মামলা নং-০১/২২৫, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধণী-২০০৩) এর ৯(১)/৩১৩/৩৪২/৩৪ পেনাল কোড। ঘটনাটি স্থানীয় জাতীয় সংবাদ মাধ্যমসমূহে প্রচারিত হলে এলাকার বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। উক্ত ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর ধর্ষক গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। বিষয়টি নিয়ে র্যাব-১৩, রংপুর ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩, ব্যাটালিয়ন সদর, রংপুর, ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-১, দিনাজপুর এবং র্যাব-৪, সিপিসি-২ সাভার যৌথভাবে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন নইয়ারহাটি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলার আসামী মোঃ ইউসুফ আলী (৩৮), পিতা-মোঃ আঃ ছালাম, সাং-খামার ভোবলা, থানা ও জেলা-ঠাকুরগাঁও’কে গ্রেফতার করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী মোঃ ইউসুফ আলী (৩৮) উপরোক্ত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামীকে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন