নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে এম রুহুল আমিন প্রধান:
দিনাজপুর চরকাই রেঞ্জের অধীন ঘোড়াঘাট পিপির কাগজ কলমে জমির পরিমান ৪৫৩.৩৯ একর। যা বর্তমানে সবই বেদল রয়েছে। জানা গেছে ১৯৮৫ সালে বন বিভাগ দিনাজপুরের চরকাই রেঞ্জের অধীন ঘোড়াঘাট পিপির ৪৫৩.৩৮ একর জমি রিজার্ভ সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে ঘোষনা করে। যা পূর্বে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীন নিয়ন্ত্রিত হলো। সেটির সাথে বর্তমানে আবার জলবায়ু সংক্রান্ত সংযুক্ত করে এখন পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রনালয় হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। দিনাজপুর বন বিভাগে চরকাই রেঞ্জের অধীন ঘোড়াঘাট পি.পির মোট জমির পরিমান ৪৫৩.৩৮ একর। এর মধ্যে ঘোড়াঘাট মৌজায় জমির পরিমান ৩৩১.৪৪ একর। ঘোড়াঘাট উপজেলা ফরেস্ট অফিসার ফসিউল আলম জানান, ঘোড়াঘাট মৌজার সব জমি বেদখল রয়েছে। এসব জমিতে ইটের বাড়ি, মিল, চাতাল, দোকানঘর নির্মান করে তারা দখলে রয়েছে। এর মধ্যে কিছু চাষাবাদের জমি আছে। যা বন বিভাগের দখলে নেই। অপর দিকে সাহেবগঞ্জ মৌজার বন বিভাগের মোট জমির পরিমান ১৫৩.৩৭ একর। এ জমির মধ্যে শুধু বর্তমানে তাদের অফিসসহ অনুমান ১ একর জমি দখলে আছে। দখলকৃত জমিতে তাদের গাছপালা সবই রাতে কেটে নিয়ে গেছে। বর্তমানে শুধুমাত্র অফিসের একটি ভগ্নস্তুপ ভাড়া কিছুই নেই। এসব বেদখলকৃত জমির বিষয়ে চরকাই রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার জানান, ঘোড়াঘাট পিপি জমা-জমি নিয়ে আদালতে প্রায় ২শ টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েক মামলার নিষ্পত্তি পাবলিকের পক্ষে হয়েছে। তিনি জানান জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ঘোড়াঘাট মৌজায় অধিক সংখ্যক জমি অবমুক্তি দেয়া হয়েছে। কিন্তু চলতি জরিপে অবমুক্তি করা জমি বেশির ভাগ বন বিভাগের নামে মাঠ জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি জরিপে ব্যক্তি মালিকানায় পর্চা হলেও আমরা ল্যান্ড ছুট মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সাহবেগঞ্জ মৌজার বহু জমির অবৈধ দখল কারীরা যা ভোগ করছে তা পুনঃউর্দ্ধার করে বনায়ন সৃজন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন