জয়পুরহাটে ব্র্যাকের উদ্যোগে কৈশরবান্ধব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত।

Spread the love

জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ ওমর আলী বাবু।
জয়পুরহাটে ব্র্যাকের উদ্যোগে কৈশরবান্ধব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় “অধিকার এখানে এখনই (RHRN-২)“ প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে বিভিন্ন ইভেন্টের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করে কৈশর বান্ধব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার লক্ষ্যে তেঘর উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটরিয়াম রুমে এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
তেঘর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোত্তালেব মন্ডলের  সভাপতিত্বে
প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক।
ডিস্ট্রিক্ট ইয়ুথ মবিলাইজার মুর্শিদা খাতুন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ব্র্যাক জেলা সমন্বয়কারী আরিফুল ইসলাম, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার এ জে এম আশিকুর রহমান, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোমিনুর রহমান,
প্রকল্প সম্বন্ধে সংক্ষিপ্ত আলোচনা এবং কৈশর বান্ধব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পেইন এর উদ্দেশ্য সম্বন্ধে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন এবং পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশনের মাধ্যমে স্কুল ক্যাম্পেইন কার্যক্রম শুরু করেন (RHRN-২) প্রকল্পের এরিয়া কো অর্ডিনেটর মাধুরী সূত্রধর।
ক্যাম্পেইনে বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ২৫ জন শিক্ষার্থী, শিক্ষকগন এবং  ইয়ুথ গ্রুপের অন্যান্য সদস্যরা অংশগ্রহন করেন।
পরে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের- উপর বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং স্কুলের প্রায় সকল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে খেলাধুলা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শ্রেণীকক্ষে সমন্বিত যৌনতা শিক্ষা পাঠদানের চ্যালেঞ্জ, উত্তোরণের উপায় ও পাঠদানের পরিকল্পনা বিষয়ক প্রথম সভার  গ্রুপ ওয়ার্ক বাস্তবায়ন ফলোআপ করা হয় এবং নতুন কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন পৃথকভাবে স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীগণ। ছাত্র-ছাত্রীদের বয়:সন্ধিকালীন স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে উত্তর দেওয়া হয় এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও খেলাধুলার পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথি  জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বলেন শারীরিক শিক্ষা বইটি পড়ানো সকল বিদ্যালয়ের জন্য আবশ্যকীয় বিষয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যতিত উক্ত বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। আজকের আলোচিত বিষয়গুলো তোমাদের মনে প্রাণে লালন ও পালন করতে হবে। বিতর্ক প্রতিযোগীতার বিষয়বস্তুও ছিল যুগোপোযোগী ।তিনি  শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন যে, যৌন স্বাস্থ্য ও বয়:সন্ধিকাল সম্পর্কে আগে থেকে জানা থাকলে তোমরা কোনো সমস্যায়  পড়বে না । সর্বোপরি কৈশোর বান্ধব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ক্যাম্পেইন এর সফলতা কামনা করি। আমি আশা করি-ব্র্যাকের এই ক্যাম্পেইন এর ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে CSE পাঠদান নিয়মিত হবে, এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক গড়ে উঠবে এবং স্কুলটি কৈশরবান্ধব স্কুল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।