এ. রাশিদ, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর।
দিনাজপুরের বাজারে দেশি পেঁয়াজ পাতা ও ভারতীয় নতুন আলু বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে দাম অনেক বেশি। প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাতা ১২০থেকে ১৩০ টাকা ও আলুর কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবুও নতুন আলুর স্বাদ নিতে বাজারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়।
কাঁচাবাজারে ঢুকলেই ক্রেতাদের সবজি কিনতে গিয়ে চড়া দামের কারণে রীতিমতো হিমশিম খাওয়া এদেশের নতুন কোনো খবর নয়। বাজারে সবজির দাম সকালে এক রকম তো বিকেলে আরেক রকম প্রতি ঘন্টায় পরিবর্তন হয় কাঁচা বাজারের দর। বিশেষ করে পেঁয়াজ ও আলুর দাম নিয়ে চরম অস্বস্তিতে ক্রেতারা। তাকিয়ে আছেন নতুন পেঁয়াজ ও আলুর দিকে।
যদিও দিনাজপুরে হিমাগারে অভিযান ও ভারতীয় আলু আমদানি শুরু হওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে। দিনাজপুরের বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে জাতভেদে ৫৫থেকে৬০ টাকা আর ভারতীয় আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা আর ভারতীয় ১০০ টাকা কেজি।তবে বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজ পাতা ও ভারতীয় নতুন আলু উঠলেও এ মুহূর্তে ক্রেতাদের জন্য কোনো স্বস্তির খবর নেই। কারণ পেঁয়াজ পাতা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি আর ভারতীয় নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি যা গত বছরের তুলনার অনেকটায় বেশি।
দিনাজপুর উপশহরের ব সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, মঙ্গলবার। সকালে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর থেকে বাজারে নতুন পেঁয়াজ পাতা নিয়ে আসেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। পেঁয়াজ পাতা চাষিদের কাছ থেকেই কিনতে হয়েছে প্রায় ১০০ টাকা কেজি দরে। ট্রাকে কয়েক বস্তা ভারতীয় নতুন আলু রাজধানী ঢাকা থেকে দিনাজপুরের বাজারে এসেছে। সেই আলু পাইকারি বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি। তারা খুচরা ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ বাজারের মো. জাকির নামে এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের নতুন পেঁয়াজ পাতা বাজারে উঠেছে। বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। আর ভারতীয় নতুন আলু ঢাকা থেকে এসেছে। বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি। নতুন সবজি আমদানি কম তাই দাম বেশি। ক্রেতারা পেঁয়াজ পাতা আধা কেজি কিনলেও ভারতীয় নতুন আলু কেউ এক পোয়ার বেশি কেনেননি। যারা কিনেছেন তারাও আবার শৌখিন ক্রেতা।আরেক ব্যবসায়ী লতিফ বলেন, নতুন পেঁয়াজ পাতা বাজারে প্রথম এসেছে। ১০০-১২০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।উপশহরের বাসিন্দা মামুন রেজা নামে এক ক্রেতা বলেন, নতুন আলু ও পেঁয়াজ এক সঙ্গেই এক পোয়া করে কিনেছি। মুখে একটু নতুন স্বাদ পাওয়া যাবে এটাই অনেক। তাদের আশা খুব শীঘ্রই দেশের সবজি বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।
মন্তব্য করুন