জয়পুরহাটে তিন ফসলি জমির মাটি কেটে চলছে বিক্রির মহাৎসবI

Spread the love

জয়পুরহাট সংবাদদাতা: ওমর আলী বাবু>
জয়পুরহাটে তিন ফসলি জমি, নদী ও বাঁধের পাশ থেকে মাটি খনন করে বিক্রির মহাৎসব চলছে। জেলায় প্রায় শতাধিক জমিতে এস্কেভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে পুকুর খনন করে অবৈধ ভাবে মাটি বিক্রয় চলছে । এর ফলে বিক্রি করা মাটি ট্রাক্টর দিয়ে পরিবহন করা হচ্ছে। মাটি পরিবহনের সময় ট্রাক্টরের চাপে গ্রামের পিচঢালা রাস্তার মাটি ডেবে যাচ্ছে। এটেল মাটি পিচ ঢালা সড়কের উপর পড়ে বিটুমিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জানাযায় পুকুর খনন করা মাটি দূরত্ব ভেদে ট্রাক্টর প্রতি ৩৫০- ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এটি খনন করার জন্য সরকারি কোনো অনুমতিও নেওয়া হয়নি।
জেলার ৫টি উপজেলার ফসলি জমির মাটি কাটার উৎসব চলছে। তারা সাধারণ লোকজনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে দিদারছে চালাচ্ছে মাটির ব্যবসা।ভেকু মেশিন দিয়ে এসব মাটি কেটে বিক্রি করছে স্থানীয় প্রভাব শালী একটি মহল। প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ফসলি জমির মাটি কাটছেন তারা। এভাবে মাটি কাটার ফলে মাটির উর্বরতা যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি পাশের জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে করে কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল গ্রামের কৃষক পরশ ও দিঘীর পাড় গ্রামের কৃষক আজিমুদ্দীন জানান, আমরা বিভিন্ন মৌসুমে ভিন্ন ভিন্ন ফসল উৎপাদন করে থাকি। এ উৎপাদিত ফসলে লোকসান হওয়ায় আমরা ঋণের বোঝা লাঘবের জন্য ফসলি জমির মাটি বিক্রি করছি।
ক্ষেতলাল উপজেলার মাটি ব্যবসায়ী আসলাম ও মিজান জানান, জমির বিক্রিত মাটির দূরত্বের উপর নির্ভর করে মাটির কমবেশি দাম নির্ধারিত করা হয়।
ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আফতাবুজ্জামান আল-ইমরান   জানান, মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী কোন ফসলি জমির মাটি ড্রেজার বা মেশিন দিয়ে মাটিকাটা নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন সব সময় সচেষ্ট রয়েছে। কোন অভিযোগ পেলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তাদের বিরদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর জয়পুরহাট এর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন  জানান, জমির উপরিভাগের পুষ্টিযুক্ত মাটি গুলো কাটা হচ্ছে, এতে করে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পরতে পারে। এখনই মাটি কাটা বন্ধ না করলে খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষা করা সম্ভব হবেনা।

 


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।