ড. ওয়াজেদ মিয়া সেতু সংলগ্ন করতোয়া নদীতে রাবার ড্রাম স্থাপন করা হলে ২টি জেলার  ৫০হাজার হেক্টর কৃষি জমি সেচের আওতায় আসবে ।

Spread the love

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে এম রুহুল আমিন প্রধান >
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ও পার্শ্ববর্তী রংপুরের পীরগঞ্জ মিঠাপুকুর তিন উপজেলা ঘেষে বয়ে গেছে করতোয়া নদী। খনন আর সংস্কারের অভাবে নদীর প্রবাহমান স্তর অনেকটা কমে গেছে। বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানিতে নদীটি ভরে যায়। এর কারনে নদীর তীর সংলগ্ন শত শত বিঘা কৃষি জমির ফসল পানিতে নষ্ট হয়ে যায়। আবার বর্ষা মৌসুম শেষে শুকনো মৌসুম আসলে দুই ধারের কৃষি জমিগুলো আবাদের উপযোগী হয়ে পড়ে। উৎপাদনের সাথে জড়িত থাকা কৃষকেরা জানান, করতোয়া নদীতে ড. ওয়াজেদ মিয়া সেতু সংলগ্ন নদীতে রাবার ড্রাম স্থাপন করা হলে বর্ষা মৌসুমের পানি ধরে রেখে ওই পানি দিয়ে শুকনো মৌসুমে রবি ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলার ২ নং বিনোদনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দীর্ঘদিনের দাবি ছিল করতোয়া নদীতে রাবার ড্রাম স্থাপনের। পানি উন্নয়ন বোর্ড দফায় দফায় ভাংগন রোধে তদন্ত করেছে। রাবার ড্রাম স্থাপন হলে কৃষি ফসল উৎপাদনে সুযোগ পাবে কৃষকেরা। অপরদিকে ভাংগন রোধও কমে যাবে। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলমগীর জানান, করতোয়া নদীতে রাবার ড্রাম স্থাপন করা হলে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ সহ রংপুরের পীরগঞ্জ ও মিঠাপকুর উপজেলার শত শত ক্ষুদ্র প্রান্তিক শ্রেনির কৃষকেরা উপকৃত হবে। বিনোদনগর গ্রামের কৃষক মো. বাবুল মিয়া , মোজাহার আলী, আজিজার রহমান, আফজাল হোসেন প্রাণকৃষ্ণপুর গ্রামের রেজাউল করিম রাসেল আহমেদ তারা জানায়, করতোয়া নদীতে রাবার ড্রাম স্থাপন করার জন্য কর্তৃপক্ষ যেন ব্যবস্থা নেয়। এ বিষয়ে ৮নংমাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, করতোয়া নদীতে রাবার ড্রাম স্থাপনের জন্য তিনিও কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন।
করতোয়া নদী মহাস্থানগড়ের কাছে করতোয়া নদী মহাস্থানগড়ের কাছে করতোয়া নদী দশ বাংলাদেশ অঞ্চল রাজশাহী বিভাগ জেলাসম‚হ রংপুর জেলা, দিনাজপুর জেলা, বগুড়া জেলা, গাইবান্ধা জেলা উৎস দেওনাই-চাডালকাটা-যমুনেশ্বরী নদী মোহনা বাঙালি নদী দৈর্ঘ্য ১২২ কিলোমিটার (৭৬ মাইল) করতোয়া নদী বা করতোয়া নিম্ন নদী বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া ও গাইবান্ধা জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১২২ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১৪৪ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বন্যাপ্রবণ নদীটির প্রবাহের প্রকৃতি বারোমাসি এবং নদীতে জোয়ারভাটার প্রভাব নেই। বাংলাদেশ পানি উন্নযন বোর্ড বা “পাউবো” কর্তৃক করতোয়া (নীলফামারী) নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ১৪। পরিচ্ছেদসম‚হ ১ প্রবাহ ২ তীরবর্তী স্থাপনা ৩ অববাহিকার প্রকল্প ৪ চিত্রশালা ৫ আরও দেখুন ৬ তথ্যস‚ত্র ৭ বহিঃসংযোগ প্রবাহ করতোয়া নিম্ন নদীটি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার মিলনপুর ইউনিযনে প্রবহমান দেওনাই-চাডালকাটা-যমুনেশ্বরী নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। এই নদী ক্রমান্বয়ে মিঠাপুকুর, নবাবগঞ্জ, পীরগঞ্জ, ঘোড়াঘাট, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ, শিবগঞ্জ, বগুড়া সদর, শাজাহানপুর ও শেরপুর উপজেলায় পৌঁছেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা বগুড়া জেলার উক্ত উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে বাঙালি নদীতে নিপতিত হয়েছে। তীরবর্তী স্থাপনা এই নদীর তীরে যেসব শহর গড়ে উঠেছে সেগুলো হচ্ছে বগুড়া পৌরসভা, শেরপুর পৌরসভা, শিবগঞ্জ পৌরসভা, গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা এবং ঘোড়াঘাট পৌরসভা। এই নদীতে ব্যারাজ বা রেগুলেটর এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নেই। অববাহিকার প্রকল্প এই নদী অববাহিকার প্রকল্প হচ্ছে ইছামতি গজারিয়া উপপ্রকল্প, নুরুলার বিল নিষ্কাশন প্রকল্প, নালেয়া নদী প্রকল্প, গাংনাই নদী ব্যবস্থাপনা এবং শাওরা বিল নিষ্কাশন প্রকল্প।

 


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।