মোঃ রেজওয়ানুর রহমান শুভ
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তৃতীয় পর্যায়ে ২৫০ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমি সহ নতুন বাড়ি। ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের ৩২,৯০৪ টি পরিবারের মাঝে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্ভোধন করেন । প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স শেষে নবাবগঞ্জ উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে নতুন বাড়ি, দুই শতক জমির সনদ ও কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়। নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ সোম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুজ্জামান সরকার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, থানা অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম রুহুল আমিন প্রধান, ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ফতে সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
এদিকে গত সোমবার নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক প্রেস রিলিজে উল্লেখ করেছেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা গড়া এবং বাংলার গরীব দুঃখী নিরন্ন মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার। এ লক্ষ্যে তিনি অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি সংবিধানের ১৫(ক) অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৭ সালের ২০ মে কক্সবাজার জেলার ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত মানুষের দুর্দশা দেখতে কক্সবাজার পরিদর্শন করেন এবং গৃহহীন মানুষের পুনর্বাসনের নির্দেশ প্রদান করেন। তাঁর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয় আশ্রয়ণ প্রকল্প। মুজিব শতবর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা” প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল স্থানের মত নবাবগঞ্জ উপজেলায়ও ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে একক গৃহ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ১ম পর্যায়ে- ২২৬ টি এছাড়া উপজেলা পরিষদ, নবাবগঞ্জ এর অর্থায়নে ১টি, নবাবগঞ্জ থানা ০১টিসহ মোট ২২৮ টি, ২য় পর্যায়ে- ৪৫০ টি ঘর বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে ৩য় পর্যায়ের ৩১৫টি ঘর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ৩য় পর্যায়ের ৩১৫ টি ঘরের মধ্যে ২৫০টি ঘরের নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। ৩য় পর্যায়ের ৩১৫ টি ঘর ১নং জয়পুর ইউনিয়নে- ৩০ টি, ২নং বিনোদনগর ইউনিয়নে- ১৯৫ টি, ৭নং দাউদপুর ইউনিয়নে-৩৩ টি, ৮নং মাহমুদপুর ইউনিয়নে-৩০ টি, ৯নং কুশদহ ইউনিয়নে-২৭ টি।
মন্তব্য করুন