দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় উদ্দীপনায় ঈদুল আযহা উদযাপিত ।

Spread the love

নবাবগঞ্জ নিউজ, মোঃ রুহুল আমিন প্রধান ।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ বিপুল উৎসাহে যথাযোগ্য মর্যাদা আর ধর্মীয় ভাব গম্ভীর পরিবেশে পবিত্র ঈদ-উল আযহা উদযাপিত হয়েছে। রবিবার (১০ জুলাই) নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগা মাঠে সকাল সাড়ে ৮ টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদ-উল আযহা উদযাপন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজ পড়ান নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল আজিজ । নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগা কমিটির সহ সভাপতি জিয়াউর রহমান মানিক, সেক্রেটারি নবাবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ। ছানোয়ার রহমান (মন্ডল) কোষাধক্ষ্য সাফি প্রিন্সিপাল, সহ অনেকে এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
ঈদুল আজহার নামাজে অংশ গ্রহন করেন এমপি শিবলী সাদিক দিনাজপুর ৬
ঈদুল আজহার নামাজের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য বলেন যাদের সমর্থ্য আছে আমরা যারা কুরবানী দিয়েছি আর যাদের সমর্থ্য নেই কুরবানী দিতে পারেনি তারা যেন এক টুকরো মাংস থেকে বঞ্চিত না হয়।
তিনি আরো বলেন এই কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের ব্যায়ভার তিনি একাই বহন করবেন
একটি টাকাও কাউকে দিতে হবে না।

ঈদুল আজহা ইব্রাহিম (আ.) ও তার পুত্র ইসমাইল (আ.)-এর সঙ্গে সম্পর্কিত। ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে পুত্র ইসমাইলকে আল্লাহর উদ্দেশে কোরবানি করতে গিয়েছিলেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে এই আদেশ ছিল ইব্রাহিমের জন্য পরীক্ষা। তিনি পুত্রকে আল্লাহর নির্দেশে জবাই করার সব প্রস্তুতি নিয়ে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।বর্ণিত আছে, নিজের চোখ বেঁধে পুত্র ইসমাইলকে বেঁধে যখন জবাই সম্পন্ন করেন, তখন চোখ খুলে দেখেন ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়েছে, যা এসেছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে।সেই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি ধারণ করেই ইব্রাহিম (আ.)-এর হিসেবে পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে কোরবানির বিধান এসেছে ইসলামি শরিয়তে। সেই মোতাবেক প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য পশু কোরবানি করা ওয়াজিব। খতিব নামাজের খুতবায় কোরবানির তাৎপর্য তুলে ধরেন।কোরবানির মূল কথা হল ত্যাগ। সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি দিয়ে দরিদ্র প্রতিবেশীদের মধ্যে এর মাংস বিতরণ করা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব।


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।