ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে স্লীপের মাধ্যমে নিতে হচ্ছে পটাশ সার আমন ধানের ফলন আশানুরুপ না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জানা যায়, ঘোড়াঘাট উপজেলায় শতকরা ৯০% ভাগ কৃষক। তাদের ধান চাষের উপর নির্ভর করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। এবার মরার উপর খাড়ার ঘা। ঘোড়াঘাটে এবার তেমন কোন বৃষ্টি না হওয়ায় বিদ্যুৎ চালিত শ্যালো মেশিন ও গভীর নলকুপ দিয়ে আমন ধানের জমিতে পানি সেচ দিয়ে কৃষক আবাদ করতে হিমশিম খাচ্ছে। এর পরেও কৃষক যে, পরিমানে আমন ধানের জমিতে পটাশ দেয় সে পরিমানে সার পাচ্ছে না। কারণ এবার কৃষককে পটাশ সার পেতে হলে ঘোড়াঘাট কৃষি অফিস থেকে স্লীপের মাধ্যমে পটাশ সার নিতে হচ্ছে। কৃষকরা আরোও জানান, যার ১ থেকে ২ একর জমি তাকে কৃষি অফিস থেকে স্লীপের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে ১ বস্তা পটাশ সার। যার জমি ১ থেকে ৪ একর তাকে দেয়া হচ্ছে ২ বস্তা পটাশ সার, যা তুলনার চেয়ে অপ্রতুল। এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট কৃষি কর্মকর্তা এখলাস হোসেনের সঙ্গে কথা বললে সে জানান, ইউক্রেন, রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বহিঃ বিশ্ব থেকে বাংলাদেশে সার আসতে একটু দেরি হচ্ছে। তবে ঘোড়াঘাটের সব কৃষকই সার পাবে বলে সে জানান। তবে কৃষকরা জানান, ৫০ শতাংশ জমির বিঘাই ধান রোপনের সময় দিতে হয় ১০ কেজি পটাশ সার, ধান রোপনের ২৫ থেকে ৩০ দিন পর দিতে হয় ১০ কেজি পটাশ সার এবং ধান বের হলে দিতে হয় ১০ কেজি পটাশ সার। তাহলে ধানের আশানুরুপ ফলন হয়। এবার সারের অভাবে আমন ধানের আশানুরুপ ফলন না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন