খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
প্রশংসা কুড়াচ্ছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার সাবেক গুলিয়াড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাছ ও ফুলের তৈরী নান্দনিক সেই শহীদ মিনার।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাঙালিরা যখন ইট-পাথর দিয়ে তৈরী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছে, ঠিক এইসময়ই দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার সাবেক গুলিয়ারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাছ ও ফুল দিয়ে তৈরী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে বিভিন্ন মহলে প্রশসংসিত হচ্ছেন ঐ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস।এনিয়ে ইতিপূর্বে আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরে বাগান পরিদর্শনে আসেন প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।২১ ফেব্রুয়ারী (সোমবার) দুপুরবেলা সরেজমিনে ঐ স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, গ্রীলে ঘেরা সুসজ্জিত ও নান্দনিক ফুল বাগানের এক কোণে কাঁটা মেহেদী ও গাঁদা ফুল দিয়ে তৈরী শহীদ মিনার আর শহীদ মিনার পাদদেশে গাঁদা ফুল দিয়ে ২১ লেখা হয়েছে। এই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।গাছ ও ফুলের তৈরী এই শহীদ মিনারের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হলে ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানান অনেকেই।আশরাফুল রিফাত নামে এক তরুণ ফেসবুকে কমেন্ট করেন, একজন শিক্ষকের সৃজনশীল এমন কাজ আমাদের জন্য শিক্ষণীয়। তাঁর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই আমরা।এই বাগান ও শহীদ মিনারের মূল কারিগর ঐ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, গতবছরের মত এবারও নান্দনিক ফুল বাগানের এই শহীদ মিনারটি সাজানো হয়েছে। শহীদ মিনারের সাথে গাছ দিয়ে তৈরী বিভিন্ন স্তম্ভ ও প্রতীকের কারণে বাগানের প্রতি শিক্ষার্থীদের সাথে দর্শনার্থীরাও অনেক বেশি আকৃষ্ট। এটিই আমার বড় প্রাপ্তি।তিনি আরো বলেন, সহায়তা পেলে এই বাগানের কাজ প্রসারিত করা যাবে। সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার এসএমএ মান্নান বলেন, সাবেক গুলিয়ারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ও বাগান অন্য স্কুলগুলোর জন্য অনুপ্রেরণা।
মন্তব্য করুন