জয়পুরহাটে আওয়ামীলীগ বিএনপি সংঘর্ষ আহত-৩৭, বিএনপি অফিস ভাংচুর।

Spread the love

 

 

 

 

জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাটে বিএনপির পদযাত্রা ও আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশ কর্মসূচি চলাকালে মঙ্গলবার বিকেলে শহরের রেলগেট এলাকায় দুই দলের সংঘর্ষে উভয় দলের অন্তত ৩৭ জন আহত হয়েছে। আওয়ামীলীগের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা বিএনপির পার্টি অফিস ব্যাপক ভাংচুর করে। পুলিশ শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে শহরের থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় বিকেলে জয়পুরহাট কেন্দ্রিয় মসজিদ সংলগ্ন পার্টি অফিসের সামনে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে আওয়ামীলীগ। সেখানে থেকে শান্তি মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণের শেষে পৌনে ৫টার দিকে পার্টি অফিসে ফিরছিল। একই সময় শহরের নতুনহাট থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা স্টেশন রোড হয়ে পদযাত্রা নিয়ে তাদের রেলগেটস্থ এলাকার দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে সরকার বিরোধী শ্লোগান দিতে থাকলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় আওয়ামীলীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ইটপাটকেল ছুঁড়লে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পথচারী সহ বিএনপি ও আওয়ামীলীগ পুলিশ সহ অন্তত ৩৭ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আওয়ামীলীগের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বিএনপির জেলা কার্যালয় ভাংচুর করে।

এ সময় পুলিশ শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আহত নেতা-কর্মীদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এর মধ্যে ৪জনের অবস্থা গুরুত্বর হলে তাদের বগুড়া সজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, আওয়ামীলীগের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা চালায় এতে ছাত্রলীগ সভাপতি জাকারিয়া হোসেন রাজা ও ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম সৈকত সহ ৮ জন আহত হয়েছে। তিনি এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানান।

জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলজার হোসেন বলেন, আওয়ামীলীগ আমাদের পদযাত্রায় হামলা চালিয়ে আমাদের প্রায় ২৫ জন নেতাকর্মী কে আহত করেছে। সেই সাথে আমাদের দলীয় অফিসও ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি করেছে ।জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু রায়হান উজ্জ্বল এর বুকে এবং কালাইয়ের আসলাম মন্ডলের পিঠে সাত টি বুলেট লেগে মারাত্মক আহত হয়েছে।যুবদলের রনি এবং পিয়াস সহ আহতদের কে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫ রাউন্ড ফাঁকাগুলি নিক্ষেপ করা হয়। তিনি বলেন এসময় আমাদের ৪জন পুলিশ সদস্যও আহত হয়।

 

 


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।