নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) এম রুহুল আমিন প্রধান।
৩ জন শ্রমিককে হত্যার অভিযোগে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানায় দিনাজপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক সহ ৬৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। সোমবার (২৬ আগষ্ট) থানায় এ মামলা হয়। নিহত শ্রমিকের মধ্যে রিমন ইসলামের বাবা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ছাড়াও তার ছোট ভাই সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তাজওয়ার মোহাম্মাদ ফাহিম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান মানিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আইনুল হক চৌধুরী, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল বেগম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক আবুল বাশার সবুজ, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর ইসলাম সবুজ, বর্তমান সভাপতি রুবেল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শামীম মিয়া সহ মোট ৬৪ জনকে আসামী করা হয়েছে। এ ছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত নামা আসামী উল্লেখ্য রয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে- উপজেলা বিনোদনগর নগর ইউনিয়নের কাঁচদহ নামক স্থানে করতোয়া নদীতে সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের একটি বালু মহল ছিল। ঐ বালু মহলে বাদীর ছেলে রিমন ইসলাম সহ তার বন্ধু উপজেলার নারায়নপুর মাটিখোড়া গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে কিবরিয়া (৩০), কাচদহ গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে ছাব্বির রহমান (২৩) বালুর ট্রাক্টরের ছিলিপ প্রদান ও হিসাবের দায়িত্বে ছিলেন। ঐ বালু মহলের বালুর ট্রাক্টরের ছিলিপের হিসাব নিয়ে রিমন ইসলাম ও তার বন্ধুদের সাথে মামলার ২নং আসামী শাহিনুর ইসলাম সবুজ সহ একাধিক আসামীদের সাথে তর্ক বিতর্ক হয়। এরই মাঝে গত ৩১/০৩/২০২২ তারিখ রাত অনুমান সোয়া ১২ সময় রিমন ইসলাম তার ঐ দুই বন্ধু সহ একটি মোটর সাইকেল যোগে উপজেলা সদরে অনুষ্ঠিত বারুনী মেলা দেখে মেলা থেকে বালু মহলে যাওয়ার পথে নবাবগঞ্জ-কাঁচদহ রাস্তার কৃষ্ণপুর নামক স্থানে পৌছিলে মামলার ১নং আসামী সংসদ সদস্যের পরিকল্পনায় এজাহারে বর্ণিত ২নং আসামী শাহিনুর সবুজের নেতৃত্বে ৩ থেকে ১০ নং আসামীরা অন্যান্য আসামীদের সহযোগিতায় তাদেরকে আটকিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে রাস্তা ধারে ফেলে রেখে যায়। এজাহারে আরোও বলা হয়েছে- তৎকালিন সময় আসামীরা ক্ষমতাসীন দলের হওয়ায় ভয়ে মামলার স্বাক্ষীরা প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করিতে পারেন নি এবং বাদী নিজেও ভয়ে মামলা করিতে সাহস পায় নেই। নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাওহীদুল ইসলাম বলেন- এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে।
মন্তব্য করুন