ঘোড়াঘাটে আদিবাসী নারী শ্রমিকদের কদর বাড়লেও কমেনি মজুরী বৈষম্য I

Spread the love


ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) সংবাদাদাতা ঃ
চলতি মৌসুমে ধান কাটা কাজে পুরুষ শ্রমিকের তীব্র সংকট দেখা দেয়ায় আদিবাসী নারী কৃষি শ্রমিকদের কদর বেড়েছে। তবে কদর বাড়লেও দুর হয়নি মজুরী বৈষম্য। কৃষি ক্ষেত্রে পুরুষদের পাশাপাশি এ সব নারী শ্রমিক সমান কাজ করলেও মজুরী পাচ্ছেন প্রায় অর্ধেক। আদিবাসী উন্নয়ন সংস্থার হিসাব মতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভার উড়াও, সাঁওতাল, মুরমু, মালী, মাহালী সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রায় ২৫ হাজার আদিবাসী বাস করেন। এ সব আদিবাসী পরিবারের ৭ হাজার নারী শ্রমিক কৃষি কাজের সাথে জড়িত। এ এলাকার বসবাসকারী আদিবাসীদের প্রায় হত দরিদ্র। হত দরিদ্রের এসব পরিবারের মুলত বসবাসকারী নারী শ্রমিকরা কৃষি ক্ষেতে কাজ করে পরিবারের সদস্যদের জীবন যাপনের খরচ যোগায়। অন্যের জমিতে শ্রম বিক্রি করতে গিয়ে তারা চরম বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে। একজন পুরুষ শ্রমিক একদিন ধানকাটা কাজের জন্য ২৫০ টাকা থেকে ৩’শ টাকা মজুরী পেলেও আদিবাসী নারী শ্রমিককে দেয়া হচ্ছে মাত্র ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ নারীর প্রতি সকল বৈষম্য বিলুপ্তি ঘোষনা দিলেও নারী শ্রমিকদের মজুরী দেয়ার ক্ষেত্রে এ ঘোষনা মানা হচ্ছে না। পুরুষতান্ত্রীক সমাজ ব্যবস্থার কারনে যুগ যুগ ধরে ন্যায্য মজুরী প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে আদিবাসী নারী শ্রমিকরা। এ ব্যাপারে আদিবাসী নারী শ্রমিক অঞ্জলী পাহাড়ী জানান, তারা মাঠে পুরুষের পাশাপাশি সমান ধান কাটা কাজ করেও মজুরী পাচেছন প্রায় অর্ধেক। বৈদড় গ্রামের শিখা জানান, শুধু মজুরী নয়, নারী বলে একজন শ্রমিকের প্রাপ্য অন্যান্য সুবিধা থেকেও তাদের বঞ্চিত করা হয়। পুরুষ শ্রমিকদের ৩ বেলা খাবার দিলেও তাদের দেয়া হচ্ছে মাত্র এক বেলা জল খাবার। আদিবাসী উন্নয়ন সংস্থার সাবেক চেয়ারম্যান ফিলিপ জানান, এ অঞ্চলের বসবাসকারী আদিবাসী মুলত নারী শ্রমিকদের রোজগারে পরিবার চলে। নারী শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরী না পাওয়ায় অভাব তাদের পিছু ছাড়ে না।


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।