নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে সৈয়দ হারুনুর রশীদ।
দেশে যখন করোনা ভাইরাস ডেভিড ১৯ সংক্রমন থেকে রক্ষার জন্য সরকারি নির্দেশ কেউ ঘরের বাইরে যাবেননা। ঠিক সেই মহা দুর্যোগে কর্মহীন মানুষদের মাঝে অনাহার /অর্ধাহার চলছে।দিনাজপুর ৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এমপি নিজস্ব অর্থায়নে দেশের ক্রান্তিলগ্নে নিজ নির্বাচনী এলাকার ৪০ হাজার কর্মহীন পরিবারের নিকটে খাদ্য পৌঁছিয়ে দেয়ার দায়িত্ব নিয়ে নিজেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ী বাড়ী গিয়ে যাচ্ছেন নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট এ উপজেলার ওই সব মানুষের ঘরে ঘরে। গ্রামের মানুষেরা যখন গভীর ঘুমে। তখন নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের আদিবাসি পাড়ায় হঠাৎ করেই ঘরের দরজায় গিয়ে গ্রাম্য ভাষায় ডাক দিচ্ছেন “মুই তোমার এমপি বাহে” তোমার জন্য মুই খাবার আনচু। এ্যালা নিয়ে খাবার খায়ে আবার আরাম করি তোমরা ঘুমাও”। ভ্যানে করে রাতের আধারে আসহায় মানুষের ঘরে ঘরে এভাবেই খাবার পৌঁচ্ছে দিচ্ছেন দিনাজপুর-৬ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এমপি শিবলী সাদিক।
এমপি শিবলী সাদিক বলেনঃ-‘আমি যখন খাবার নিয়ে গ্রামে যাই তখন গ্রামের মানুষগুলো অনেকেই ঘুমিয়ে ছিল। করোনভাইরাসের কারনে কর্মহীন মানুষগুলো ঘরে বন্দি তখন তাদের করোনার চেয়েও ভয়াভহ হয় ক্ষুধা। সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে রাতের আধারে তাদের খাবার পৌঁছে দেবার চেষ্টা করেছি’।
তিনি আরো বলেন-“আমি খোঁজ নিয়েছি অনেক মানুষ আছে অভাবের কারনে তাদের উঁনুন জ্বলেনি। ঘরের বাইরে করোনা আর ভেতরে ক্ষুধা।অনেক পরিবারের শিশুরা ছিল অভুক্ত।তাদের হাতে কিছু খাবার তুলে দিতে পেরে নিজেকে ভালো লাগছে। অনেক মানুষ আছে খাবার পেয়ে একটা আনন্দের হাসি দিচ্ছে যা সারা জীবনে মনে রাখবার মত’।
খাবার পেয়ে ওই আদিবাসি গ্রামের স্বনালী তিগ্যা বলেন,‘ মুই ভাববারই পারনাই এমপি মোর বাড়িত আসি খাবার দিবে।করোনার ভয়ে হামরা ঘর থেকে বাইরত যাবার পারছিনা। ছোয়ালগুলাও কান্দোচে। চাল,ডাল,লবণ পেয়ে ভালোই হইলো।ইশ্বর তোমাঘরে আরো বড় মানুষ করুক’।
এসময়, স্থানীয় আওয়ামীলীগের কয়েক জন নেতা উপস্থিত ছিল।#
মন্তব্য করুন