আমের বাগান ও মৎস চাষ করে, নবাবগঞ্জের এক শিক্ষার্থী ফিরিয়েছে ভাগ্যের চাকা

Spread the love

এনজি নিউজ(নিজস্ব প্রতিণিধি) দিনাজপুরের কৃষি ফসল উৎপাদনের উর্বর ভূমির নাম নবাবগঞ্জ। কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ ও প্রযুক্তি ভিত্তিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে কৃষির মাঝেই নিজের ভাগ্যের উন্নয়নের চাকা ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন এক শিক্ষার্থী। উপজেলার ৩নং গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের আঃ জলিলের পুত্র নবাবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক তহিবুর রহমান প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষে জয়পুরহাট সরকারি কলেজ থেকে বি.এ (অনার্স) পাশ করে। বর্তমানে সে ওই কলেজেই মাষ্টার্সে অধ্যায়নরত। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়ায় উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেনীতে লেখাপড়ার সময় থেকে নিজের লেখাপড়ার খরচ চালাতে ও ভবিষ্যত কর্মজীবনের কথা ভেবে লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজ এলাকায় আম ও মাছ চাষ শুরু করে। নিজের জমি না থাকায় পর্যায়ক্রমে এলাকার ১৭টি আমবাগান লিজ গ্রহণ করে। সে নিয়মিত পরিচর্যা ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে  চলতি মৌসুমে তার আমের বাগান গুলিতে উন্নত প্রজাতির হাড়িভাঙ্গা, আ¤্রপালী, খিরসাপাতী সহ সুস্বাদু আমের মুকুল শোভা পাচ্ছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ওই বাগানগুলো থেকে ১০-১২ লাখ টাকার আম আয় করার সপ্ন দেখছে সে। এছাড়াও এলাকার ৩টি  পুকুর লিজ নিয়ে ফরমালিন মুক্ত মাছ চাষ করছে। তহিবুর তার নিজের ভাগ্যের উন্নয়নের পাশাপাশি তার আমবাগানে ও মৎস খামারে এলাকার বেশকিছু শ্রমিকের কর্ম সংস্থান হয়েছে। এ বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে সে জানায়- দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শিবলী সাদিকের সার্বিক পরামর্শে লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও সাবলম্বী হতে এ উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে ৩নং গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রাশেদুল কবির রাজু জানান, তহিবুর ফল ও মৎস চাষ করে এলাকায় বেকার যুবকদের প্রেরণা যুগাচ্ছে। এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মোঃ আসাদুজ্জামান এর সাথে যোগাযোগ করা  হলে তিনি জানান- বর্তমান প্রযুক্তির যুগে কৃষিতে যে সাফল্য রয়েছে এ উপজেলা তার দৃষ্টান্ত। তহিবুরের মত শিক্ষিত যুবকেরা কৃষি সেক্টর এগিয়ে এলে কৃষি সেক্টর আরও সমৃদ্ধশালী হবে। তিনি তহিবুরকে প্রযুক্তিগত পরামর্শ সহ সার্বিক সহযোগীতা  করার আশ্বাস দেন।


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।