ইসলামী কলাম, লেখকঃ- মোঃ রুহুল আমিন প্রধান ,।

Spread the love

যিলহজ্জ মাসের ৯ থেকে ১৩ তারিখ তাকবিরে তাশরিক পড়ার বিধান:
 আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নির্ধারিত দিন সমূহে আল্লাহকে স্মরন করো’
(সুরা বাকারা, আয়াতঃ ২০৩)।
অত্র আয়াতের নির্দিষ্ট দিন বলতে যিলহজ্জের ৯ থেকে ১৩ তারিখ উদ্যেশ্য। এদিন গুলোকে আইয়্যামে তাশরিক বলা হয়। যিলহজ্জের ৯ তারিখ ফজর হতে যিলহজ্জের ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত প্রতি ওয়াক্তের ফরজ নামাজের পড় নিম্নোক্ত তাকবিরটি পাঠ করতে হবে এবং পাঠ করতে ভুলে গেলে যখন স্মরণ হবে তখনই পাঠ করে নিবে। তারপর চলাফেরা, উঠা-বসা তথা সব সময় একাধিক বার পড়া মোস্তাহাব।
আহমাদ ইবন আবদা (রহঃ) …… ইবন আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (আমাদেরকে) এরূপ অবহিত করা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায সমাপনান্তে তাকবীর পাঠ করতেন। (সম্ভবত তা ঈদুল আযহার আইয়ামে তাশরিকের তাকবীর ছিল)।
(হাদিস নং: ১০০২, সূনান আবু দাউদ)
তাকবিরে তাশরিক:
ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻛﺒﺮ .. ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻛﺒﺮ .. ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻛﺒﺮ .. ﻻ ﺇﻟﻪ ﺇﻻ ﺍﻟﻠﻪ
ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻛﺒﺮ .. ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻛﺒﺮ .. ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻛﺒﺮ .. ﻭﻟﻠﻪ ﺍﻟﺤﻤﺪ
উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার.. আল্লাহু আকবার.. আল্লাহু আকবার..
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
আল্লাহু আকবার.. আল্লাহু আকবার.. আল্লাহু আকবার..
ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
অর্থ : ’আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য।’
বাংলাদেশে বসবাসকারীদের জন্য তাকবীর পাঠ করার সময়:
২০২০ইং সালে (১৪৪১ হিজরি) তাকবিরে তাশরিক শুরু হবে ৩১ জুলাই (শুক্রবার) ফজর ৪ আগস্ট (মঙ্গলবার) আসর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত নামাজ তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে।

Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।