নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে এম রুহুল আমিন প্রধান।
আইন অমান্য করে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে একটি সুবিধা বাদী মহল কৃষি ৩ ফসলী জমি নষ্ট করে শ্যালো মেশিনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে রোজগার করছে লাখ লাখ টাকা।
বালু তোলার কারণে যেমন একদিকে নষ্ট হচ্ছে ৩ ফসলী কৃষি জমি অন্য দিকে জমির রকম পরিবর্তন।
এদিকে অবৈধ ভাবে অবাধে বালু তোলার কারণে ওই বালু পরিবহনে কাঁচা রাস্তা হচ্ছে ব্যাপক ক্ষতি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় উপজেলার ৭নং দাউদ পুর ইউনিয়নের উত্তর মুরাদ পুর, দাউদ পুর কলেজের পূর্ব পাশের পুকুর থেকে আবার বিনোদ নগর ইউনিয়নের কাঁচদহ করতোয়া নদী, সহ কয়েকটি স্হান ও জয়পুর ইউনিয়নের বেলঘাট এলাকার গুচ্ছ গ্রামের পুকুরে মাহমুদ পুর ইউনিয়নের মোগর পাড়া মহারাজ পুর, হাতভাঙ্গি এলাকায় ধানের জমি নষ্ট করে চলছে বালু ব্যাবস্যা।
এবিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা মাসিক আইন শৃংখলা কমিটির সভায় নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান বলেছেন দলের নাম পরিচয় ব্যাবহার করে কেউ মাদক সন্ত্রাস সহ টেন্ডার বাজী চাঁদা বাজী সরকারি জমি দখল সহ অবৈধ ভাবে বালু ব্যাবস্যা করতে পারবেনা ।
গত রোববার নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নাজমুন নাহার এর নির্দেশে উপজেলা সহকারি কমিশনার( ভূমি ) আল মামুন মোবাইল কোট পরিচালনা করে নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদ পুর ইউনিয়নের তিনটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে বালু তোলার শ্যালো মেশিন ,পাইপ গুলোতে অগ্নিসংযোগ করে ব্যাবহার অনুপোযোগী করে পানিতে ফেলে দেয়।
এছাড়াও উপজেলার দাউদ পুর ইউনিয়নের দোমাইল নামক গ্রাম থেকে অবৈধ ভাবে বালু তুলে পরিবহন ও বিক্রি করার অপরাধে থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে বলে সহকারি কমিশনার (ভূমি ) এ প্রতিবেদক কে জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত থাকা কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
এবিষয়ে ৮ নং মাহমুদ পুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইটভাটা ব্যাবসায়ী নেতা বলেছেন আইন অমান্য যারা করবে তাদের কে আইনের আওতায় আনা হবে। সরকারি নির্দেশনার আলোকে তিনিও গ্রাম পুলিশের সহায়তায় বালু না তোলার জন্য কয়েক বার বারন করেছিলেন।
পরবর্তী মোবাইল কোট পরিচালনায় সহায়তা করবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
মন্তব্য করুন