দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে আশুড়ার বিলের অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি ।

Spread the love


নবাবগঞ্জ (দিনাজপু)থেকে এম রুহুল আমিন প্রধান।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ দৃষ্টিনন্দন ও পর্যটকদের আকৃষ্ট করার ঐতিহ্যবাহী জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন শালবাগানের মাঝখানে বিশালা আকৃতির নয়নজুড়ানো আশুরার বিল। এলাকাবাসী জানায় এই বিলটি অত্যন্ত সুন্দর একবার যদি কেউ দেখতে আসে বারবার বিল পরিদর্শন করতে আগ্রহ হবে। যার ফলশ্রুতিতে উপজেলা প্রশাসন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সহ এলজিইডির মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন ও অবকাঠামো উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।এমন খবর পেয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা এখানে শুধু দেখতে পাবেন তাই নয় উপজেলার ৩ নং ইউনিয়নের গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের সদস্য ক্লাব থেকে উত্তরে শাল বনের মধ্য দিয়ে পাকা রাস্তা হয়ে যেতে চোখে পড়বে দেশের সর্ববৃহৎ সামনের বাগান এর মাঝে রয়েছে উন্নত জাতের বেত বাগান এমন দৃশ্য কে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য আরো আকৃষ্ট করে তুলতে নিপুণভাবে বোনকে সাজানোর নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগ এর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন চরকাই ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার। নবাবগঞ্জ সদর বিট কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম জানান বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ও চরকাই ফরেষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা সহযোগিতায় এ পর্যন্ত বিলুপ্ত প্রজাতির বিভিন্ন চারা শাল বাগানের মাঝে মাঝে রোপন করা হয়েছে সুন্দর্য বৃদ্ধি করতে।সৌন্দর্যবর্ধন ফুল গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান জানান বনবিভাগের রোপণ করা হয় চারাগুলো পরবর্তীতে বিলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে দেবে নবাবগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারজান সরকার জানান বিলে বিলে স্থানীয় মৎস্যচাষীদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশি প্রজাতির মাছ চাষের জন্য বিল নার্সারি মাধ্যমে মাছের পোনা পোনা পোনা মাছ বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন তিনি এ প্রতিবেদককে জানান মৎস্য সেক্টরের উন্নয়নে চিন্তা-চেতনা করে যাচ্ছেন। নবাবগনঞ্জ বিটের আওতাধীন আশুরার বিলের কিনারা দিয়ে হিজল,জারুল, করচ,অর্জুন ইত্যাদি প্রজাতির চারা রোপনের মাধ্যমে সিলেটের রাতারগুলের সোয়াম ফরেস্ট এর ন্যায় দ্বিতীয় সোয়াম ফরেস্ট তৈরীর প্রচেষ্টা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান। তবে পার্থক্য হলো সিলেটের রাতারগুল বনের উদ্ভিদ প্রজাতির ফুল সব সময় দেখা যায় না আর আশুরার বিলে রোপিত উদ্ভিদ প্রজাতির গাঢ় লাল,নীল ফুল সারা বছর দর্শনার্থীদের মনের খোরাক যোগাবে।ইতোমধ্যে পর্যাটন মন্ত্রণালয়ের থেকে ৫০ লাখ টাকার অনুদান পেয়ে উন্নতমানের ওয়াশরুম, গোলঘর নির্মাণ বন বিভাগের পক্ষ থেকে কাঠের গোলঘর নির্মন চলমান রয়েছে।

 


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।